থাই জামরুল গাছে কলম করার সহজ উপায় | যে কোন গাছে কলম করার সহজ উপায়

বর্ষাকাল গাছে কলম করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। বর্তমানে জামরুল গাছের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রজাতির গাছটি সেটি হলো থাই জামরুল গাছ। এটি কয়েকটি রং এর হয়ে থাকে। এর মধ্যে লাল থাই জামরুল বেশি জনপ্রিয়। আপনি এই গাছটি আপনার বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা ছাদে টবে লাগাতে পারেন এই গাছটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং অনেক ফল ধরে,খেতেও অনেক সুস্বাদু। আজ আমি থাই জামরুল গাছে কলম করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। একটি আপনি কলম করা শিখলে এভাবে প্রত্যেকটি গাছে কলম করতে পারবেন। এটি অত্যন্ত সহজ একটি কাজ। এর জন্য মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়তে থাকুন। আপনাদেরই অনেক উপকারে আসবে।

থাই জামরুল গাছে কলম করার সহজ উপায়

থাই জামরুল গাছে কলম করার সবচেয়ে সহজ উপায় :

থাই জামরুল গাছে কলম করা সবচেয়ে সহজ। আপনি অন্যের সাহায্য ছাড়াই নিজেই খুব সহজে কাজটি করতে পারেন। বর্তমানে জামরুল এর বিভিন্ন ধরনের জাত রয়েছে। এর মধ্যে থাই জামরুল অন্যতম। এটি দেখতে যেমন চমৎকার খেতেও তেমনি সুস্বাদু। তাই দিন দিন এর চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বসতবাড়িতে লাগানোর পাশাপাশি বর্তমানে অনেকের ছাদে থাই জামরুল টপে লাগাতে দেখা যায়। জামরুল প্রচুর পরিমাণ হয়ে থাকে।থাইল্যান্ডের এ প্রজাতির ফল এবং ওখান থেকে নিয়ে আসার কারনে এটির নাম হয়েছে থাই জামরুল


আরো পড়ুন

বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করার সঠিক নিয়ম

দ্রুত শিওর ব্যালেন্স চেক করুন
My Gp app login system 2022

থাই জামরুল গাছে কলম করার সবচেয়ে সহজ উপায় নিম্নরূপঃ

থাই জামরুল গাছ কলম করা সবচেয়ে  সহজ। আপনি এই একটি গাছে কলম করা শিখে যে কোন গাছে এই পদ্ধতিতে কলম করতে পারেন।

কলম করার জন্য উপকরণ :

ক.বেলে দোআঁশ মাটি

খ. মধু/ অ্যালোভেরা জেল
গ. পলিথিন
ঘ. সুতলি /দড়ি
ঙ. ছুরি

কলম করার পদ্ধতি নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

১. সর্বপ্রথম হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যেন হাতে কোন প্রকার জীবাণু না থাকে।

Note: হাতে কোন জীবাণু থাকলে কলম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

২.  এরপর আপনাকে মাটির নির্বাচন করতে হবে। বেলে দোআঁশ মাটি কলম করার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম। এ মাটির সাথে অন্য কোন প্রকার সার মেশানোর দরকার নেই।

৩. মাটিটাকে প্রথমে চেলে নিতে হবে যেন মাটি ছাড়া অন্য কোন প্রকার ময়লা না থাকে।

৪. তবে মাটিটা বেশি শুকনা হবে না আবার বেশি ভিজাও হবে না।

৫. রুট হরমোন হিসাবে আমি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করছি। আপনারা মধুও ব্যবহার করতে পারেন।

৬.  এবার আপনাকে একটি ডাল সিলেক্ট করতে হবে।

৭. এমন একটি ডাল সিলেক্ট করবেন যে ডালটি একেবারে নতুনও হবে না আবার বেশি পুরনোও হবে না।

৮. এবার ছুরি দিয়ে ডালটি ১ ইঞ্চি দূরত্ব নিয়ে দুই সাইডে গোল করে কেটে নিবেন।

৯. ডালটি যেন পেন্সিলের মত সাইজ হয় এমন একটি ডালই আপনি বাছাই করবেন।

১০. এবার আপনি যে অংশটুকু কাটবেন ঐ অংশটুকুর ছাল ছাড়িয়ে ফেলতে হবে।

১১. ছাল ছাড়ানোর পর ডাল বের হবে। প্রলেপটি ছুরি দিয়ে ঘসে ঘসে উঠিয়ে ফেলতে হবে।কারন ডালে একটি  আঠালো ধরনের প্রলেপ থাকে।
 Note: ঘসে না উঠালে এর উপর পুনরায় ছাল তৈরি হয়ে যাবে এবং শিকড় বের হবেনা।

১২. এরপর করণীয়, কাঁটা অংশে ভালো করে এলোভেরা জেল দিতে হবে।

১৩. দুই থেকে তিন ইঞ্চি মতো কেটে কাঁটা অংশের উপর এলোভেরা জেল ভালোভাবে ঘসতে হবে।
Note: অ্যালোভেরা জেল বেশি ব্যবহার করলে কোন সমস্যা নেই।

১৪. তাহলে আমাদের ন্যাচারাল গুটি হরমোন রুটি হরমোন লাগানোর কাজ শেষ।

১৫. এবার আমাদেরকে মাটিটা পুরো অংশে প্রলেপ দিতে হবে যেখানে অ্যালোভেরা জেল দিয়েছেন।

Note: তবে উপরে এক অংশ নিচে এক অংশ এভাবে ভাগে ভাগে মাটিটা লাগালে খুবই ভালো হয়।

১৬. লক্ষ্য রাখতে হবে, মাটির আকৃতি যেন দুই পাশের সাইডের অংশ চিকন থাকে এবং মধ্যবর্তী অংশ মোটা থাকে।

১৭. এর কারণ হলো মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে শিকড় বের হবে।

১৮. মাটি লাগানোর কাজ শেষ হলে পলিথিন দিয়ে মাটি দেওয়া অংশ গোল করে পেঁচিয়ে দিবেন।

Note: আপনারা যেকোন পলিথিন ব্যবহার করতে পারেন।

১৯. গোল করে পলিথিন দিয়ে পেঁচিয়ে নিয়ে চিকন দুই সাইডে সুতলি দিয়ে পেঁচিয়ে মধ্যবর্তী স্থানের সাথে পেঁচিয়ে চিকন পাশে সুতলি/দড়ি দিয়ে ভালো করে বেঁধে দিবেন।

Note: অতিরিক্ত সুতলি থাকলে তা কেটে ফেলবেন।

২০.  শিকড় বের হতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে।

২১. ৩৫ দিন পর ডালটি কাটবো

২২. এরপর সুতা কেটে পলিথিনটা খুলবেন।এরপর শিকড়

দেখতে পাবেন।

২৩. কলম করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। এই সময় যদি আপনারা যে কোন গাছের কলম করেন তাহলে দ্রুত কাজ করবে।

২৪. যখন কলমটি লাগাবেন তখন কোন প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

২৫. এবার মাটিতে গর্ত করে বা আপনারা যারা টবে লাগাতে চান গর্তের ভিতর শিকড়ের অংশটা মাটিসহ অংশটা পুতে দিতে হবে।

২৬. তবে পরবর্তী চার-পাঁচ মাস পর রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে পারেন।

২৭. সমপরিমাণ জৈব সার ও সমপরিমাণ মাটির ব্যবহার করবেন। তবে বেলে দোআঁশ মাটি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

 

পরিশেষে বলা যায়, আপনারা যদি এভাবে কলম করেন। তাহলে আশা করা যায় অনেক ভালো কলম করতে পারবেন। বর্ষার সময় থাই জামরুল গাছে কলম করার উপযুক্ত সময়। তবে অন্য সময়ও কলম করা যেতে পারে।আপনি স্বল্প পরিসরেও এ গাছটি লাগাতে পারেন। জামরুল গাছে অধিক পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না।

Click here

থাই সফেদা গাছে বেশি ফলন পেতে করণীয়

থাই পেয়ারা গাছে কলম করার সহজ উপায়

থাই জামরুল গাছ চেনার সহজ উপায়

জামরুলের উপকারিতা


click here




আমার সাইটটি ভিজিট করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। আপনারা আবারও আমার সাইটটি ভিজিট করবেন। আশা করি, আমার লেখাগুলি আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকারে আসবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url