কাউ ফলের উপকারিতা | কাউফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং সর্দিজ্বর, ঠান্ডা ও দাঁতের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যে ফলটি যেটি সর্দিজ্বর, ঠান্ডা, দাঁত মজবুত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এমন একটি ফল নিয়েই আমি আলোচনা করব। যেটি আপনাদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। আজ আমি কাউ ফলের উপকারিতা নিয়ে নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়তে থাকুন। তাহলে কাউফল সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারবেন।


কাউ ফলের উপকারিতা

কাউ ফলের উপকারিতা:

কাউফল মূলত টক জাতীয় সুস্বাদু একটি ফল। অনেকের কাছেই এই ফলটি পছন্দের তালিকায় থাকে। যারা বিশেষ করে টক জাতীয় ফল বেশি পছন্দ করেন।

বিভিন্ন নামে এই ফলটি পরিচিতি লাভ করেছে। কেউ এই ফলটিকে কাউয়া, কাউ, কাগলিচু,কাউগুলা ,ট্যাপফোল তো নাম রয়েছে। তবে কাউফল নামটি সকলের কাছে বেশি পরিচিত

গাছটি মূলত কালচে বর্ণের হয়ে থাকে। পাতাগুলি সবুজ হয়ে থাকে। তবে নিচের দিকে একটু ঝোপঝার কম হয়। উপরের দিকে ঝোপানো টাইপের হয়ে থাকে।

কাউ গাছের উপরের অংশে ডালপালা হয়ে থাকে এবং এ ফলের ফলন অনেক বেশি। ফলটি যখন কাঁচা থাকে তখন এটির কালার সবুজ হয়ে থাকে এবং যখন পাকতে শুরু করে ফলটি হলুদ বর্ণের তারপর কমলা আভাযুক্ত হয়ে থাকে।

তবে পাকা ফল খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনাদের মধ্যে যারা এই ফলটির নাম শুনেছেন কিন্তুু কখনো খাননি তাদেরকে বলছি আপনারা ফলটি খেয়ে দেখতে পারেন। এটি অনেক সুস্বাদু প্রকৃতির ফল।

এই ফলটি মাখিয়ে খেলে খুবই সুস্বাদু লাগে। ভিতরে কমলার মত কিন্তুু আস্ত অনেক বিচিযুক্ত থাকে। এটি জুন জুলাইতে বেশি পাওয়া যায়। কারণ ঐ সময় কাউয়া ফল এর সিজিন বলা হয়ে থাকে।

আপনি যদি কাউফল মাখিয়ে খেতে চান তাহলে সিস্টেমটা আপনাকে জানতে হবে। খোসা উপর চাকু দিয়ে ঘুরিয়ে খোসাটা আঙ্গুলের সাহায্যে টান দিবেন। তাহলে খোসাটা ওঠাতে সহজ হবে। আঙ্গুলের সাহায্যে যখন টান দিবেন তখন খোসাটা দুই ভাগ হয়ে যাবে।

এভাবে একটি চামচ দিয়ে একটি অংশ ছাড়াতে পারবেন। আরেকটি এমনিতে উঠে যাবে। খোসা ছাড়ালে আপনাকে কাউফল দেখতে অনেকটা কমলার মত মনে হবে। কমলার ভিতর নরম হয়ে থাকে। কিন্তুু কাউ ফলের ভিতরে থাকে আস্ত অনেক বিচি

ফলটা দেখতে যেমন দারুন খেতেও তেমনি বেশ। খোসা ছাড়ানো হয়ে গেলে দুইটি শুকনো মরিচ ও সামান্য পরিমাণ টেস্ট অনুযায়ী লবণ নিবেন। তারপর কাউ ফলটিকে মরিচ এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিবেন।

আপনি যদি একটু এর সাথে সরিষার তেল দেন তাহলে টেস্টটা আরো অনেক বেশি হবে। যেকোনো সময় এই ফলটি মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে দুপুরের সময় খেলে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

এই ফলের ভিতরে মূলত বিচিযুক্ত দানা থাকে। যেটি অত্যন্ত সুস্বাদু। ফলটি আপনি এমনিও খেতে পারেন। আবার আচার বানিয়ে ও রাখতে পারেন।

পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটি সর্দি জ্বর ঠান্ডা সারাতে বেশ উপকারী। খাবারের রুচি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে থাকে। এ ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে দাঁতের ক্ষেত্রেও খুবই উপকারী।
 

পরিশেষে বলা যায়, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলটি অনেক পুষ্টিগুনে ভরপুর। ভিটামিন সি এর অভাব পূরণের জন্য ফলটি অবশ্যই আপনার খাওয়া উচিত।


আরো পড়ুন

থাই জামরুল গাছ চেনার সহজ উপায়
 

click here



আমার সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনারা আবারও আমার সাইটটি ভিজিট করবেন। তাহলে এরকম আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন। যে তথ্যগুলি আপনাদের কোন না কোন উপকারে আসবে। আপনাদের উপকারে আসলেই আমার লেখার সার্থকতা |

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url