ছাদে টবে থাই জামরুলের অধিক ফলন | আমরুল চাষ পদ্ধতি

বর্তমানে থাই জামরুল চাষের মাধ্যমে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। আর ফলটি খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনও রয়েছে। তাই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ছাদে টবেও জামরুল চাষ করতে দেখা যায়। আজ আমি জামরুলের পরিচর্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের কিভাবে জামরুল গাছের পরিচর্যা করলে তবে আপনারা অধিক ফলন পেতে পারেন। এই বিষয়টি নিয়েই আমার আজকের আলোচনা। আপনারা মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়তে থাকুন। আশা করি আপনাদেরই উপকারে আসবে।

 

ছাদে টবে থাই জামরুলের অধিক ফলন

ছাদে টবে থাই জামরুলের অধিক ফলনঃ

বর্তমানে থাই জামরুলের খুবই জনপ্রিয়তা রয়েছে।এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি ফলন ও অনেক বেশি হয়ে থাকে।এই কারনে জামরুলের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। থাইল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা এই প্রজাতির জামরুল কয়েকটি রংয়ের হয়ে থাকে। যেমনঃ সাদা, লাল, সবুজ, গোলাপি সহ আরো কিছু রঙের হয়ে থাকে। এগুলি আকারে দেশি জামরুলের চেয়ে বড় হয়ে থাকে এবং বছরে দুই থেকে তিনবার ফল পাওয়া যেতে পারে। তাই অনেকেই ছাদে টবে  জামরুলের চাষ করে থাকেন। ফলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এটি চাষ করে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন অনেকেই।

ছাদে টবে থাই জামরুলের অধিক ফলন পেতে করনীয় কি

ছাদে টবে জামরুল গাছ লাগানোর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সঠিক চারা নির্বাচন করতে হবে। তাহলে ফলন অনেক বেশি হবে। চারা যদি ভালো কলমের হয় তাহলে গাছটি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ফলে ফলের সংখ্যাও বেশি হবে।

 আরো পড়ুন, 

থাই জামরুল গাছ চেনার সহজ উপায়

চারা নির্বাচন করার পর আপনাকে টবে  লাগানোর পূর্বে টবের মাটি সুন্দর করে চেলে নিতে হবে মাটিটা যেন ঝুরঝুরে থাকে। তারপর মাটির সাথে কিছু জৈব সার মিশিয়ে দিবেন। মাটির সাথে জৈবসার সঠিকভাবে মেশে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ মাটি ভালোভাবে তৈরি না করে আপনি গাছ লাগালে গাছের শিকড় খুব সহজেই মাটির সাথে মিশতে দেরি হবে।তাহলে গাছের সতেজতা ফিরে পেতে অনেক দেরি হবে। যে টবেতে গাছটি লাগাবেন উক্ত টবে যেন একটি ছিদ্র থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

আর যদি মাটির সাথে জৈব সার সুন্দর করে মিশিয়ে গাছটি লাগান তাহলে খুব দ্রুত মাটির সাথে শিকড় মিশে যাবে এবং গাছটি খুব দ্রুত প্রাণ ফিরে পাবে অর্থাৎ গাছটি মারা যাবে না। যেখানে অনেক রৌদ্র থাকে এরকম একটা স্থানে গাছটি লাগাবেন। গাছটি লাগানোর পর আপনাকে টবে অল্প পরিমাণে জল ছিটিয়ে দিতে হবে গাছের পাতায় ও গোড়ার দিকে। গাছটির লাগানোর ১৫ দিন পর গাছের গোড়া কুপিয়ে দিতে হবে। যাতে গাছের গোড়ার মাটিগুলো কিছুটা আলগা হয়ে থাকে।এটি গাছের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।

প্রতিদিন নিয়মিত জল দিতে হবে।তবে জলের পরিমাণ অনেক বেশিও দেওয়া যাবে না আবার কমও দেওয়া যাবে না। জল বেশি দিলে গাছের গোড়া পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার জলের পরিমাণ কম হলেও গাছ মরে যাওয়া সম্ভব থাকে। গাছ লাগানোর এক মাস পর গাছে রাসায়নিক সার দিতে পারেন। এজন্য আপনি আরো অন্যান্য উপাদানের ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ নিমখোল, হাড়গোড়া, সবজির খোসা, মাছের কাটা ইত্যাদি এগুলো গাছের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।

প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে গাছের গোড়ার মাটির আবারো কুপিয়ে দিতে হবে। যা করার এক বছরের মধ্যে দেখবেন গাছটি অনেক সুন্দর হয়েছে। গাছের পাতাগুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন গাটির পরিচর্যা সঠিক আছে কিনা। গাছের পাতাগুলোই অনেক সুন্দর থাকবে তাহলে বুঝবেন আপনার পরিচর্যা সঠিক আছে। তবে যখন দেখবেন গাছের পাতা শুকনা টাইপের, পাতার রং নষ্ট হয়ে গেছে, অসময়ে পাতা ঝরে পড়ছে,পাতায় বিভিন্ন ছিদ্র হয়েছে, গাছ তেমন একটা বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

এমন অবস্থা দেখলে গাছে অতিরিক্ত পরিচর্যা প্রয়োজন হবে। কারণ আপনার গাছে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে এর জন্য আপনাকে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের পোকার উপদ্রব হলে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করলে গাছ পোকার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাবে। আর গাছের পোকা হবে না। আপনাকে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। আপনি যদি এভাবে গাছের যত্ন নিতে থাকেন তাহলে দেখবেন ফুল এবং ফলে গাছে ভরে উঠবে।

গাছে যখন ফুল দেখা দিবে তখন গাছের গোড়ায় নিয়মিত জল দিতে হবে এবং গাছের পাতায় জল দিবেন তবে জলের পরিমাণ পাতায় হালকা পরিমাণে দিবেন না হলে ফুল ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।



পরিশেষে বলা যায়, আপনারা যদি উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী জামরুল গাছ পরিচর্যা করেন তাহলে খুব সহজেই গাছের সঠিক ফলাফল পাবেন। নিজেরাই দেখতে পারবেন।

 

আরো পড়ুন

 মাকাল ফলের উপকারিতা 

 থাই পেয়ারা গাছে কলম করার সহজ উপায়

 থাই লাল জামরুল গাছে ফুল ও ফল না আসার কারণ



click here


আমার সাইটটি ভিজিট করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। আশা করি আপনারা আবারও আমার সাইটটি ভিজিট করবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url